এই যে এমসি কলেজে ঘুরতে আসা সদ্য বিবাহিত স্বামীকে বেঁধে উন্নিশ বছরের মেয়েটিকে যারা ছাত্রাবাসে কক্ষ বন্দি করে পালাক্রমে গণধর্ষণ করলো দয়া করে তাদেরকে “সংগঠনে বহিরাগত” বলে নিজেকে অমানুষ প্রমাণ করবেন না।
ধর্ষণে প্রাথমিকভাবে যে ৫/৬ জনের নাম উঠে এসেছে মোটামোটি তাদের সবাইকে খুউব ভালো ভাবে চিনি। বিভিন্ন প্রোগ্রাম, মিছিল কিংবা উৎসবে নিজ হাতে তাদের কি পরিমাণ ছবি তোলে দিয়েছি সেটা নিজেও ঠিক জানি না। ক্যাম্পাস রাজনীতিতে মিছিলের প্রথম সারিতে অবস্থান করা ছেলেদের কখনো বহিরাগত ট্যাগ দিয়ে চালিয়ে দেওয়া যায় না। এভাবে চালিয়ে দেওয়া মানে পরোক্ষভাবে ধর্ষণকে সমর্থন করা।
“কোনো ব্যক্তির দায় কখনো পুরো সংগঠন নিবে না” এই বাক্যটা একদম ঠিক। তবে যখন অপরাধীদেরকে সংগঠন প্রশ্রয় দিতে চাইবে তখন সেই দায়ভার সম্পুর্ন সংগঠনটির উপর এসে পড়বে। দলান্ধ না হয়ে অপরাধীকে অপরাধী ভাবতে শিখুন। বর্তমান যুগে দাঁড়িয়ে (বহিরাগত) মুখস্ত বাণী শুনাবেন না প্লিজ; ভার্চুয়াল বাতাসে সবকিছু এম্নি এম্নি বের হয়ে আসবে। এর চাইতে বরং নিজের জায়গাটা পরিষ্কার রাখুন; প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্তে সহযোগিতা করুন। একটা জিনিস মনে রাখবেন- “নেতা হওয়ার আগে মানুষ হওয়াটা বেশি জরুরি।”
সবচে’ বিস্ময়কর বিষয় হইলো সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং স্বাভাবিকভাবে ছাত্রাবাস বন্ধ থাকার কথা অথচ জাদুর শক্তিতে এমসি কলেজের ছাত্রাবাস খোঁলা এবং সেখানে একদল ছাত্র বসবাস করে আসছে। সেটা আদৌ কি এমসি কতৃপক্ষ জানে? না-কি সবকিছু জানার পরও অন্ধের মতো চামচামি করে আসছে!
সেটা যাই হইক, এই দায়ভার এমসি কলেজ কতৃপক্ষ এড়িয়ে যেতে পারে না; নৈতিকভাবে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। গল্পের শেষ দ্যাখার অপেক্ষায় আছি~ 😀
(বি:দ্র: আমি কোনো ধর্ষণকারীর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি না; শাস্তি আশাও করি না। নিয়মমাফিক অন্য সব গল্পের মতো এই গল্পের সমাপ্তি হবে ত্রিমাত্রিকতায়। কারন এই দ্যাশে সব কিছু বাতাসে চলে; এখানে “মসির চেয়ে অসি বড়”)
– রিফাত আহমেদ পাভেল