২০১৮ সালে প্রণীত, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) কে মানবধিকার কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে একটি “কালো আইন” বলে অভিহিত করে আসছেন। সরকার এই আইনকে ভিন্নমত এবং বাকস্বাধীনতা দমন করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপব্যবহার করে আসছে।
আমার মতো অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, ব্লগার এবং সাংবাদিকরা ডিএসএ-এর সবচেয়ে বেশি শিকার। ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট এপ্রিল ২০২৩ সালে একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে এটিকে “বিশ্বের সবচেয়ে কালো আইনগুলির মধ্যে একটি” বলে অভিহিত করেছিল।
আইনটি বাতিলের দাবি বাড়ার সাথে সাথে, জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক এই বছরের এপ্রিলে ঢাকাকে এই আইন ব্যবহারে “অবিলম্বে স্থগিতাদেশ আরোপ” করতে এবং “আন্তর্জাতিক মানবতার প্রয়োজনীয়তার” সাথে সঙ্গতিপূর্ণ করার জন্য এর বিধানগুলিকে ব্যাপকভাবে সংস্কার করতে বলেছিলেন।
এই নিপীড়নমূলক আইন সংশোধনের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় ধরণের বিভিন্ন সংস্থার প্রায় পাঁচ বছরের প্রতিবাদ ও আবেদনের পর, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী-কাম-প্রধান বিচারপতি, শেখ হাসিনা, শুধুমাত্র এর নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেন। ফলস্বরূপ, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট (সিএসএ) ২০২৩ শিরোনামের একটি নতুন আইন এই বছর সেপ্টেম্বরে প্রণীত হয়েছে। যাইহোক, আমার মামলাগুলি যেগুলি আগে দায়ের করা হয়েছিল সেগুলি ঠিকই আগের আইন-ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন- ডিএসএ এর অধীনে অব্যাহত থাকবে কারণ নতুন সিএসএ আইনে এমন একটি ধারা যুক্ত করা আছে।
মূলত, এটি সেই প্রবাদের নতুন বোতলে পুরানো ওয়াইন।
–
রিফাত আহমেদ পাভেল
Enacted in 2018, DSA has long been termed by rights activists as a “black Act” for its misuse by the government to suppress dissent and freedom of speech.
Bloggers, Online Activists like myself along with journalists were the worst victims of DSA. The US State Department in a press briefing in April 2023 called it “one of the world’s most draconian laws”.
As demands to repeal the law grew, the United Nations human rights chief Volker Turk in April this year asked Dhaka to “impose an immediate moratorium” on its use and “to reform comprehensively its provisions to bring them in line with the requirements of international human rights law”.
Following approximately five years of protests and appeals from both national and international Organisations for the amendment of this oppressive legislation, the Prime Minister-cum-Real Chief Justice of Bangladesh, Sheikh Hasina, made the decision to merely alter its name. Consequently, a new statute entitled Cyber Security Act 2023 was enacted in September 2023. However, my cases that have been previously filed will continue to be processed under the extant legislation—the Digital Security Act—as a clause has been integrated into this fresh enactment.
Essentially, it’s the proverbial old wine in new bottles.
–
Rifat Ahmed Pavel