শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকী ববির প্রতিষ্ঠান সিআরআই’র অন্যতম প্রধান ডোনার, জয় বাংলা কনসার্টের প্রধান স্পন্সর ইউনাইটেড গ্রুপের হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটের এগারো অগ্নি-নির্বাপকের নয়টি অচল ছিল। তাই ২৭ মে ২০২০ এর আগুনে মারা গেছেন পাঁচজন রোগী।
কলকাতায় এক হাসপাতালে আগুন লাগার পর সেখানের সরকার সেই হাসপাতালের পরিচালকদের বিরুদ্ধেও মামলা করেছিলো। হাসিনার সরকারের হ্যাডম আছে ইউনাইটেডের কারো বিরুদ্ধে মামলা করার?
দেখেন, ইউনাইটেড গ্রুপ জানে কোথায় টাকা ঢালতে হবে, কোথায় টাকা ঢালতে হবে না। এই জন্য তারা জয়-ববিদের সংস্থায় দুই হাত ভরে টাকা দিতে পারে কিন্তু হাসপাতালে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা উন্নত করতে পারে না। কারণ এরা জানে জয়-ববিদের চিকিৎসা হবে বাইরের হাসপাতালে, এরা দেশের কোন হাসপাতালের কী অবস্থা, সেইখানে আগুন লেগে পাঁচ জন মারা গেল, না পাঁচ হাজার মানুষ মারা গেল তা নিয়ে চিন্তিত না।
ভালো থাকেন, করোনাভাইরাসে মরতে থাকেন, আগুনে পুড়ে মরতে থাকেন, সড়ক দূর্ঘটনায় মরতে থাকেন, আর বাসায় বসে বসে সমালোচনা করেন- কেন যে বিরোধী দলগুলি সহীহ উপায়ে আন্দোলন করতে পারে না।
ফুটনোট: খেয়াল কইরেন, সব স্পন্সরগুলাকে একটা করে পাওয়ার প্ল্যান্ট দিছে হাসিনা শাহী। এই পাওয়ার প্ল্যান্টগুলা বসে বসে ‘ক্যাপাসিটি চার্জ’ কোটায় টাকা পায়, তাদের কোন বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হয় না। আবার কেউ এইটা নিয়ে মামলাও করতে পারবে না; ইনডেমনিটি আছে।
– রিফাত আহমেদ পাভেল