দীপন হত্যার ৮ বছর পূর্ণ হলো গত ৩১ অক্টোবর। ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে ফয়সাল আরেফিন দীপন খুন হয়েছিলেন।
যুদ্ধপরাধীদের বিচারের দাবিতে শাহবাগে গড়ে উঠা গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য ও ব্লগার – প্রকাশক – লেখকদের ভয় দেখাতে ধর্মান্ধ চক্র খুনের রাজনীতি কায়েম করেছিল প্রতিশোধের নেশায়। হাটহাজারি থেকে তেঁতুল মোল্লা শফি রাজাকার ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে যে ফতোয়া দিয়েছিল, ‘নাস্তিকরা তোমরা মুরতাদ হয়ে গেছ, তোমাদের কতল (হত্যা) করা আমাদের উপর ওয়াজিব হয়ে গেছে’। পরের বছর ২০১৫ সালে একে একে খুন করা হয়েছিল ব্লগার অভিজিৎ, ওয়াশিকুর, অনন্ত, নিলয় ও দীপনকে। ওই বছর সর্বশেষ খুন হয়েছিলেন জাগৃতির প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন। ধর্মান্ধচক্র তাকে খুন করে আজিজ মার্কেটে তাঁর প্রকাশনীর ভেতরেই।
ব্লগার, প্রকাশক, লেখক ও চিন্তাবিদদের খুন করা ও হত্যাকে সহনীয় করার সামাজিক মনস্তত্ত্ব নির্মাণে এই ৫টি খুন এবং তাদের ঘীরে সমস্ত আলাপ বাজারে ছাড়া হয়েছিল ওই বছরই। ধর্মান্ধ খুনীচক্র ধর্মের জন্য লড়ছে বলে খাওয়ানো হয়েছিল সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষদের। অভিজিৎ, অনন্ত ও দীপন হত্যার জোড়াতালি মার্কা অতি-বিলম্বিত বিচার শেষ হলেও এসব খুনের সাথে রাজনৈতিক ছত্রছায়ার যোগসূত্র খোঁজা হয়নি! রাজনৈতিক কারণেই কিনা কে জানে?
ক্ষমতাসীনরা ব্লগার – লেখক – প্রকাশক হত্যাকান্ড নিয়ে কথা বলতে চান না। ধর্মের বর্মে আস্থা খুঁজছে ক্ষমতাসীনরা!
–
রিফাত আহমেদ পাভেল