আজ পাচই মে। ঠিক এইদিনেই দশ বছর আগে শাপলায় হয়েছিলো গনহত্যা। সেই মৃতের সংখ্যা চাপা দিতে মাঠে নেমেছিলো পুরা স্যেকুলার ইন্সটিটিউট। ৫ই মে কে এখনো স্যেকুলার মিডিয়া এমনকি প্রথম আলো বলে “হেফাজতের তাণ্ডব”। মৃতের সংখ্যা নিয়ে একটা তালিকা করায় গ্রেফতার করা হয় অধিকারের সাধারণ সম্পাদক নন্দিত মানবাধিকার নেতা আদিলুর রহমান শুভ্রকে। খড়্গ নেমে আসে অধিকারের উপরে, তার রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করা হয়। আদিলুর রহমান শুভ্রের মামলা এখন চলমান, যেকোন মুহূর্তে রায় দিয়ে দেবে হাসিনার আদালত। হেফাজতের কর্মিরা দলে দলে রক্ত দিলেও তাদের মৃত্যুকে অস্বীকার করলেও, তারা রঙ মেখে শুয়ে ছিলো বলে বিভৎস অশ্লীল উপহাস করলেও হাসিনার হেফাজতের পা ধরতে কোন অসুবিধা হয় নাই, হেফাজতের হাসিনার পা চাটা অংশের হাসিনাকে কওমি জননী উপাধি দিতে সমস্যা হয় নাই। কিন্তু ৫ ই মে কী হয়েছিলো কতোজনের মৃত্যু হয়েছিলো সেনিয়ে কোন আলাপ আপনি পাবেন না। ফেইসবুক ভুলেই গেছে সেই আত্মত্যাগের কথা। ৫ই মের মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা সামনে আনায় হাসিনা যে একটা মানবাধিকার সংগঠনকেই নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে সেইটা নিয়া আমরা বেখবর।
আমরা শাপলাকে ভুলবোনা। স্যেকুলারিজম আর ইসলামকে মুখোমুখি দাড় করিয়ে ফ্যাসিবাদের যেই বীজ বাংলাদেশের মাটিতে পোতা হয়েছিলো। শাপলা ছিলো তার বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ।
৫ই মের শহীদদের আমার শ্রদ্ধা, আগামীর বাংলাদেশ তোমাদের দেখানো পথেই আমরা নির্মাণ করবো।
– রিফাত আহমেদ পাভেল